মালদা

নির্বাচন কমিশনে পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের

 

তৃণমূল প্রার্থীকে গোপনে মদত দিচ্ছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের একাংশ। এমন অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থী। এবার বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল নেতৃত্ব।

    উল্লেখ্য, বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল প্রার্থীকে গোপনে মদত দিচ্ছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের একাংশ, এমন অভিযোগ তুলে ছিলেন উত্তর মালদার সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। ওই বৈঠকে প্রার্থী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মালদা বিধানসভার বিধায়ক গোপাল সাহা ও হবিবপুরের বিধায়ক জয়েল মুর্মু।

    খগেন মুর্মুর দাবী, জেলার এই আধিকারিকেরা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রাক্তন পুলিশ কর্তা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে নির্বাচনের কাজ করছেন। এই সকল আধিকারিকেরা নির্বাচনের কাজে যুক্ত থাকলে ভোট নিরপেক্ষ হবে না। খগেন বাবু আরও বলেন নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর এক বেসরকারি হোটেলে মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের অবস্থিত থানার পুলিশকর্তা, ব্লকের আধিকারিক সহ জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের সাথে গোপন বৈঠক করেছেন। তাই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনারের কাছে জেলার প্রথম শ্রেণীর আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার লিখিত আবেদন করেছেন মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মূ।

 

    এদিকে উত্তর মালদার তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কোনো মানুষ যখন হারার ভয় পায় তখন কিছু বেস-লেশ কমপ্লেন করে। ফলে এধরনের কমপ্লেন তখনি মানুষের মধ্যে দেখা যায়। উনি আসলে ফাসট্রেটেড। কোন কাজ হয়নি, এই আওয়াজটা হবিবপুর থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর পর্যন্ত আপনি পাবেন। আমি নির্দিষ্ট কোন জায়গার কথা বলছি না। সব জায়গায় একই কথা কোন কাজ হয়নি। কি হচ্ছে, যে কাজ করতে পারে নি! উনি জানেন আমার পরাজয় নিশ্চিত। তৃণমূল কংগ্রেস শক্তিশালী দল, জিতবেই। এই বিষয়টি নিয়ে উনার ফাসট্রেশন শুরু হয়েছে। এই ফাসট্রেশন থেকে এই সব কথা বলছেন। আমি বলবো উনাকে বিশ্রাম নিতে। এই সমস্ত বেস-লেশ কথার উত্তর দেওয়ার মানে হয় না। উনি যে বেস-লেশ অভিযোগ আনছেন তার বিরুদ্ধে আমরা পাল্টা অভিযোগ করেছি উনার নামে,‌ দাবি তৃণমূল প্রার্থীর।